স্টাফ রিপোর্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা সিলেটের আলোচিত দু’টি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশে সিআইডিতে এ দু’টি মামলা হস্তান্তর করা হয়।
এ দু’টি হত্যা মামলার একটি হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিলেটের প্রথম শহিদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্রসেন এবং অপরটি বিয়ানীবাজারের রায়হান উদ্দিন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করেছেন সিআইডির পরিদর্শক আবদুছ ছালেক। আর ১১ নভেম্বর থেকে রুদ্রসেন হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারি কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইমরান আহমদ।
সোমবার রাতে আলাপকালে শ্যামল সিলেটকে এ তথ্য জানিয়েছেন আলোচিত হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তারা।
রুদ্রসেন হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান আহমদ বলেন, ‘দায়িত্বভার গ্রহণের পরপরই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি।ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি মামলার বাদির সঙ্গে কথা হয়েছে।মামলাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে।’
রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা আবদুছ ছালেক বলেন, ‘আজই (সোমবার) মামলা তদন্তের দায়িত্বভার পেয়েছি।নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শুরু করব।’
উল্লেখ্য, ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রুদ্র সেন আহতাবস্থায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সুরমা বাগবাড়ী এতিমখানা স্কুলের একটি খাল পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আব্দুল মোমেনের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি শাখার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম (২৪) বাদী হয়ে ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।পরদিন কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি (নং-(১৫(০৮)২০২৪) রেকর্ড হয়।
অপরদিকে ৫ আগস্ট বিয়ানীবাজার পুলিশের গুলিতে নিহত হন কলেজ ছাত্র রায়হান উদ্দিন (১৮)।তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার তেলিকান্দি গ্রামের মো. ফারুক উদ্দিনের ছেলে। তবে রায়হান উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বিয়ানীবাজার পৌরসভার নয়াগ্রামে পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এ ঘটনায় রায়হান উদ্দিনের বড়ভাই বুরহান উদ্দিন ২৬ আগস্ট ৩০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা (নং-০৮(০৮)২০২৪ দায়ের করেন।এ মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Leave a Reply